ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

পেকুয়ায় কলেজে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল: ঘটনায় জড়িত ৯ ছাত্র স্থায়ীভাবে বহিস্কার হলেও ফেঁসে যাচ্ছেন ২ শিক্ষকও!

pekua-teacher-injoure-by-studentগিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের দুই শিক্ষককে পিটিয়ে ও কলেজে তান্ডব চালানোর ঘটনা পরবর্তী গঠিত তদন্ত কমিটি সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। গত ১১ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান কলেজ অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। কলেজ শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করতে গত মাসের ৯ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। এছাড়াও তদন্ত কমিটিতে পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম, উম্মে কুলসুম মিনু, মাহবুব ছিদ্দিকী ও জাকের হোসেনকে সদস্য করা হয়েছিল।

 সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত মাসের ৬নভেম্বর পেকুয়া জিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর একদল উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী কলেজের ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক মো. আলম ও প্রদর্শক মো. এনামুল হককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এসময় কলেজের অফিস এবং ছাত্রাবাসের দুটি কক্ষ ভাঙচুর করা করে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্ররা।

 আর ঘটনার পর পর কলেজ অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় দ্বাদশ শ্রেণীর ৯ ছাত্রকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। যার মামলা নং-৮, তাং ৯/১১/১৬ইং। ওই মামলায় দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র সালাহউদ্দিন, মিনার হোসেন, ইব্রাহিম খলিল খোকন, রেজাউল করিম, খোরশেদ আলম, আব্দুর রহমান জয়, আরিফুল ইসলাম, শাহাদাত হোছাইন ও জয়নাল আবদীনকে আসামী করা হয়। মামলা দায়েরের পর কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ৯ জন ছাত্রকে সাময়িকভাবে কলেজ থকে বহিস্কারও করেছিল।

 এদিকে কলেজ অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান জানিয়েছেন, তার কাছে গত কয়েক দিন পূর্বে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, কলেজের পরীক্ষা বানচাল, পরীক্ষা না দিয়ে ফরম ফিলাপ, শিক্ষার্থীদের নকলে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে উচ্ছৃঙ্খল কিছু শিক্ষার্থী ছাত্রবাসে বসে শিক্ষকদের উপর হামলার পরিকল্পনা করে। এসব ছাত্রদেরকে নিয়ে কলেজ প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ব্যানারে প্রভাব বিস্তার করছিল ২ শিক্ষক। মামলায় ৯ ছাত্রকে আসামী করা হলেও ৭ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। মামলার আসামী দুই শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাদের দায় থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। আর মামলায় আসামী না হলেও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাছির উদ্দিন আজম ও মো. আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়ায় তাদের দুইজনকে অভিযুক্ত করারও সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

 অপরদিকে ঘটনার জড়িত সালাহউদ্দিন, মিনার হোসেন, ইব্রাহিম খলিল খোকন, রেজাউল করিম, খোরশেদ আলম, আব্দুর রহমান জয়, আরিফুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন আজম ও জয়নাল আবদীনকে কলেজ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে বলে কলেজ অধ্যক্ষ জানিয়েছেন।

 কলেজের অধ্যক্ষ তদন্ত কমিটির লিখিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানান, তদন্ত কমিটি কলেজ ক্যাম্পানে শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্যে বন্ধের সুপারিশ করেছেন। কলেজ ছাত্রবাসে ৪ কিলোমিটার দূরের শিক্ষার্থী ছাড়া কাছের শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ না দেওয়ার সুপারিশ, কলেজ ছাত্রবাসে কলেজ অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপার ও নৈশ প্রহরী ছাড়া অবৈধভাবে শিক্ষার্থী রাখা যাবেনা মর্মেও সিদ্ধান্ত উল্লেখ করা হয়েছে।

 কলেজ অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান জানান, কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ব্যানের পৃষ্টপোষকতায় থাকা দুই শিক্ষকের নাম তদন্তে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃকপক্ষ এসব শিক্ষকদের চিহ্নিত করে বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আক্ষেপ করে বলেন, মামলার আসামী উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই কলেজ ক্যাম্পাসের আশেপাশে প্রকাশ্যে ঘুরছে। তিনি মামলার বাদী হওয়ায় এসব আসামীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ারও আশংকা করছেন। তিনি দ্রুত মামলার আসামী এসব শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

 কলেজে সৃষ্ট ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, তিনিসহ তদন্ত কমিটির অপরাপর সদস্যরা নিরপক্ষেভাবে তদন্ত করেছেন। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমান মিলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তদন্তে কিছু সুপারিশ ও করা হয়েছে।

 ######################

পেকুয়ায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার বিকেলে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এসএম গিয়াস উদ্দিন। এছাড়া বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা জহিরুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন, বশিরুল আলম, মোস্তাক আহমদ, মফিজুর রহমান, কাজিউল ইনচান, মাশুক আহমদ, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজম খান, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম কফিল উদ্দিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনারা ও এদেশীয় তাঁদের দোসরেরা বেছে বেছে জাতীর শ্রেষ্ট সন্তানদের হত্যা করেছে। ইতিহাসে এসব হত্যাকারীদের নাম কালোতালিকাভুক্ত হয়েছে। তাঁদের দোসরদের বিচারও হচ্ছে। এজন্য সরকারকে সর্বস্তরের মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে।

###################

পেকুয়ায় পবিত্র জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালিত

 পেকুয়া প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় পবিত্র জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)পালিত হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্টিত জশনে জুলুসের জমায়াতে হয় পেকুয়া কলেজ মাঠ। এরপর মগনামা ঘাটসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পেকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে গিয়ে আলোচনা সভা হয়। হযরত লষ্কর শাহ (রা:) এর আওলাদ আলহাজ্ব নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও পেকুয়া উপজেলা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারী মো. জাকের হোছাইন প্রকাশ জাকের ফকিরের পরিচালনায় অনুষ্টিত জশনে জুলুসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক নুরুল আজিম এমএ, মোস্তাক আহমদ নুরী প্রকাশ কালু ফকির, মাহবুবুল আলম, সেলিম উদ্দিন, মাওলানা নুরুল বশর আল কাদেরী, মাওলানা নাঈমুল করিম, মৌলনা আবদুল লতিফ সিকদার, মৌলানা নুরুজ্জামান আনসারী প্রমূখ।

পাঠকের মতামত: